Header Ads Widget

সয়াবিন তেল মজুদ করে ধরা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা

সয়াবিন তেল মজুদ করে ধরা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা


সয়াবিন তেল মজুদ করে ধরা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা


সময়ের কণ্ঠস্বর, ঢাকা: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লায়েকুজ্জামান। রমজানে ভোজ্য তেলের বাড়তি দাম পাওয়ার লোভে তিনি ৫১২ লিটার সয়াবিন তেল মজুদ করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।


পুলিশ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে লায়েকুজ্জামানের নিজের ও শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব তেল জব্দ করেছে। পরে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।


লায়েকুজ্জামানকে শুক্রবার রাতে তেলসহ আটকের পর শনিবার পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।


সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাবেক কৃষি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামান ব্যক্তি পর্যায়ে গত ছয় দিনে বিভিন্ন স্থান থেকে ৫১২ লিটার তেল সংগ্রহ করে বাসায় মজুদ করেন। পরে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে।


লালমাটিয়ার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন সাবেক সরকারি কর্মকর্তা লায়েকুজ্জামান। এর পাশেই তাঁর শ্বশুরের বাসাটিও তিনি দেখাশোনা করতেন। সে বাসাতেই তিনি ৫১২ লিটার তেল মজুত করেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বিপ্লব কুমার সরকার।


লায়েকুজ্জামানের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘তাঁর কাছে এসব তেল কেনার রসিদ দেখতে চাইলে তিনি কৃষি মার্কেটের সূর্য এন্টারপ্রাইজের একটি রসিদ দেখান। রসিদটি যাচাই করে দেখা গেছে, সেখান থেকে ১৫৯ টাকা দরে মাত্র ৪০ লিটার তেল কিনেছেন। বাকিগুলো তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করেছেন। আর, সূর্য এন্টারপ্রাইজের ওই রিসিপ্টের মাঝখানে নিজ হাতে বাকি তেলগুলোর পরিমাণ লিখে বিভিন্ন দাম বসিয়ে দিয়েছেন।’


সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তার করা লায়েকুজ্জামান মনে করেছেন—যেহেতু বর্তমানে তেলের দাম বাড়তির দিকে, রমজানে আরও দাম বাড়তে পারে। তাই, বাড়তি লাভের আশায় তিনি তেল কিনে মজুদ করে রেখেছেন।


বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘লায়েকুজ্জামানের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানা বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় তাঁর সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। রিমান্ডে পেলে তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তখন জানা যাবে, অতীতেও তিনি এমন কাজ করেছেন কি না। অথবা তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কী।’


বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, ‘লায়েকুজ্জামান কোনো ব্যবসায়ী নন, ডিলারও নন। প্রাথমিকভাবে এটি তাঁর ব্যক্তিগত অসৎ উদ্দেশ্য বলেই মনে হয়েছে। অতিরিক্ত লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে তিনি তেল মজুদ করেছেন। ৫১২ লিটার তেল মজুদ করা ফৌজদারি অপরাধ, এটি সংকট সৃষ্টির অপপ্রয়াস।’

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ