জাহাজের ফ্রিজে নাবিক হাদিসুরের দেহাবশেষ
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকে থাকা বাংলাদেশের জাহাজ ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে হামলায় নিহত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান আরিফ (২৯)। হামলায় তার দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তার দেহাবশেষ সংরক্ষণ করা হয়েছে জাহাজের ফ্রিজেই।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মো. মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘হাদিসুরের মরদেহ জাহাজের ফ্রিজেই সংরক্ষণ করা হয়েছে। অনেকটা সরাসরি তার ওপর হামলা হয়েছে বিধায় তার দেহ বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাহাজে বাকি ২৮ নাবিক অক্ষত আছেন। আমরা তাদের কীভাবে নিরাপদে আনা যায়, বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করছি।’
এর আগে বাংলাদেশ সময় বুধবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এম ভি বাংলার সমৃদ্ধিতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জাহাজে আগুন ধরে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নাবিকদের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন।
হাদিসুরের বাড়ি বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা বাজার এলাকায়। তিনি ওই এলাকার চেয়ারম্যান বাড়ির বাসিন্দা মো. আবদুর রাজ্জাক (অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক) ও আমেনা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধ শুরুর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। ওই বন্দর থেকে পণ্য আনার কথা থাকলেও যুদ্ধের কারণে সেটি আটকে যায়। এরপর থেকে ২৯ জন নাবিক নিয়ে জাহাজটি ওই বন্দরে অবস্থান করছেন। চীনে তৈরি ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিএসসির বহরে যুক্ত হয়।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। টানা কয়েকদিন ধরেই দুপক্ষের মধ্যে চলছে লড়াই। এরই মধ্যে বেলারুশে শান্তি সংলাপে বসেছিল রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল। তাদের আলোচনা শেষ হয়েছে। তবে কোনো সমাধান না আসায় দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
About Us
Contact Us
Privacy Policy
Terms Conditions
0 মন্তব্যসমূহ