Header Ads Widget

পদ্মা সেতু: যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে

https://e-careerdesk.blogspot.com/


পদ্মা সেতু: যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে রেলওয়ে নেটওয়ার্কে

পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের রেল নেটওয়ার্ক বদলে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু ব্যবহার করে রেলপথে রাজধানী থেকে যশোরের দূরত্ব অর্ধেকেরও বেশি কমে আসবে। পুরো প্রকল্প সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালে। তবে ঢাকা-ভাঙ্গা অংশ চলতি বছরেই সম্পন্ন করতে চলছে এখন বিশাল কর্মযজ্ঞ। পেইজ- রেলওয়ে গ্যালারি  ছবি- বিডিনিউজ২৪

পদ্মা সেতু ঘিরে দেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ চলছে এখন পুরোদমে। পদ্মার সেতুর দুই প্রান্তের ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেল লিঙ্ক প্রকল্প সম্পন্ন হলে রেলপথে ঢাকা থেকে যশোরের দূরত্ব কমবে ১৯০ কিলোমিটার।

পুরো প্রকল্প ২০২৪ সালে সম্পন্ন হওযার কথা থাকলেও ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে মুন্সীগঞ্জ মাওয়া অংশ চলতি বছরেই সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। আর ঢাকাকে পদ্মা সেতুর সঙ্গে এই সময়ের মধ্যেই যুক্ত করার কর্মযজ্ঞও চলমান রয়েছে। পুরো প্রকল্পে ২০টি রেলস্টেশন থাকছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তে দুটি রেলস্টেশনের কাজও দ্রুত এগোচ্ছে। সাসপেনডেন্ট প্ল্যাটফর্ম সমৃদ্ধ দেশের সর্বাধুনিক মাওয়া রেল স্টেশনের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। আর অপর প্রান্ত জাজিরার ‘পদ্মা’ রেলস্টেশনের অগ্রগতি ৩৫ ভাগ।(রেলওয়ে গ্যালারি পেইজের এই পোস্টটি প্যাসেঞ্জার ভয়েস থেকে নেয়া)

এছাড়া সেতুর দুপ্রান্তের রেল ভায়াডাক্টে পাথর বিহীন রেললাইন বসানোর কাজও শেষ পর্যায়ে এখন। প্রকল্পের গুণগত মান নিশ্চিত করেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন চলছে, জানালেন পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক প্রকল্পের জুনিয়র প্রকৌশলী মিল্টন সরকার।

প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন জানান, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল নেটওয়ার্ক ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। রেলস্টেশন তৈরি, লাইন, রেল সেতু, রেল কালভার্টসহ পুরো প্রকল্পের অবকাঠামো এখন দৃশ্যমান। রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন জানান, প্রথমে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে প্রায় ৪২ কিলোমিটার রেলপথ পদ্মা সেতুর সড়ক পথের সঙ্গেই আগামী জুনে চালুর কথা ছিল। কিন্তু সেতু কর্তৃপক্ষ যথা সময়ে সেতুর নিচতলা হস্তান্তর না করার কারণেই এই বিলম্ব হচ্ছে। রেলপথমন্ত্রী বলেন, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতু এলাকায় রেললাইন বসাতে সময় লাগবে প্রায় ছয় মাস। তাই এক সঙ্গে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেললাইন চালুর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতুর নিচ তলায় গ্যাস পাইপ স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। লাইন বসানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। সে কারণে আগামী জুন রেল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করছে না।

রেললিঙ্ক প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পদ্মা সেতুর নিচতলা হস্তান্তরের পরই রেললাইন বসানো শুরু হয়ে যাবে। তবে সড়ক পথ চালু থাকায় রেলপথে পাথরবিহীন লাইন বসানোর ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কারণ সেতুতে ঢালাই করে পাথরবিহীন লাইন বসাতে হবে। তাই যান চলাচলের কারণে বায়োব্রেশন থাকার কারণে বিশেষ ব্যবস্থায় এই লাইন বসাতে হবে। মূল সেতুতে রেললাইন বসানো না হলেও সেতুর দুই পাসে রেল সংযোগ সেতুতে পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। এই প্রকল্পের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন। নির্মাণ পরামর্শক হিসাবে কাজ করছে সিএসসি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

প্যাসেঞ্জার ভয়েস 



     About Us                         Contact Us                   Privacy Policy                    Terms Conditions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ