কক্সবাজারের টেকনাফ থা’নার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমা’র দাশের বিপদের দিনেও পাশে নেই তার স্ত্রী’ চুমকি। অথচ মানুষ হ’ত্যা করে ওসি প্রদীপ টাকার পাহাড় গড়েছিল।
সেই টাকায় বিলাসী জীবন-যাপন করতেন তার স্ত্রী’। সেই স্ত্রী’ আজ চরম বিপদের দিনেও প্রদীপের পাশে দাঁড়ায়নি। বাস্তবতা এমনই কঠিন।গণমাধ্যমের ভাষ্যমতে, প্রদীপের স্ত্রী’ চুমকি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভা’রতে পালিয়েছেন।জানা গেছে, সে’নাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্ম’দ রাশেদ খান হ’ত্যা মা’ম’লার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
রায়ে টেকনাফ থা’নার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমা’র দাশের মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আ’দা’লত। একই সাথে তার সহযোগী বাহারছড়া পু’লিশ ত’দ’ন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলীর ফাঁ’সির রায় দিয়েছেন আ’দা’লত।সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জে’লা ও দায়রা জজ মোহাম্ম’দ ইসমাইলের আ’দা’লত এ রায় ঘোষণা করেন। ৬ জনকে দেয়া হয়েছে যা’ব’জ্জীবন সাজা। তারা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পু’লিশের সোর্স নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীন।মা’ম’লা খালাস পাওয়া আ’সা’মিরা হলেন- এপিবিএনের এসআই শাহ’জাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আব্দুল্লাহ, পু’লিশের কনস্টেবল সাফানুল করিম, কা’মাল
হোসেন, লিটন মিয়া ও পু’লিশের কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন।দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে এজলাসে এসে আ’দা’লতের কার্যক্রম শুরুর পর মা’ম’লা স’ম্প’র্কে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করেন বিচারক। এরপর শুরু করেন অ’প’রা’ধের পর্যবেক্ষণ বয়ান। সাক্ষ্য প্রমাণে কার কী অ’প’রা’ধ দাঁড়িয়েছে সেসব তুলে ধ’রার পর হ’ত্যায় সংশ্লিষ্টতার অ’প’রা’ধ অনুসারে সাজা ঘোষণাকালে প্রধান ২ অ’ভিযু’ক্তকে সর্বোচ্চ শা’স্তি মৃ’ত্যুদ’ণ্ডাদেশ দিয়েছেন আ’দা’লত।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ পু’লিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক প্রদীপ কুমা’র দাশ।
কক্সবাজারের টেকনাফ থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) থাকাকালে মেজর সিনহা হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনায় আসেন তিনি।মা’দ’ক নিয়ন্ত্রণে অ’ভিযানের নামে ধ’রাকে সরা জ্ঞান করা প্রদীপ কুমা’র দাশ মা’দ’ক ব্যবসায় জ’ড়ি’তদের পাশাপাশি নিরীহ অনেককে মা’দ’ক ব্যবসায়ী বানিয়ে পাঠিয়েছেন জে’লে।প্রদীপ কুমা’র দাশ টেকনাফের
আগে কক্সবাজারের মহেশখালী থা’নার ওসি, সিএমপির পতেঙ্গা, বায়েজিদ ও পাঁচলাইশ থা’নার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। যেখানেই দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। একাধিকবার স্ট্যান্ড রিলিজও হয়েছেন। কিন্তু প্রতিবারই অদৃশ্য ছায়ায় পার পেয়ে গেছেন।সর্বশেষ টেকনাফ থা’নায় যোগদান করে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন প্রদীপ কুমা’র দাশ। মা’দ’ক ব্যবসায়ীদের ব’ন্দু’কযু’দ্ধের নামে হ’ত্যা, নিরীহ লোকজনকে ব’ন্দু’কযদ্ধের মিথ্যা মা’ম’লায় ফাঁ’সিয়ে তাদের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অ’ভিযোগও রয়েছে তার বি’রু’দ্ধে। এরকম আরও অসংখ্য অ’পকর্মের অ’ভিযোগ রয়েছে তার বি’রু’দ্ধে
0 মন্তব্যসমূহ