খুলনার ফুলতলায় ধর্ষণের পর মুসলিমা খাতুনকে গলা কেটে হত্যায় জড়িত মূল আসামি রিয়াজ খন্দকার ও সোহেল সরদাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জানুয়ারি) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে মুনসুর খাঁ (৮০) এবং ইউসুফ আলীকে (৬৩) জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম মুসলিমার মাথার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শেষে দাফন এবং তার মোবাইল ফোন, কানের দুল ও চেইন উদ্ধার হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, রিয়াজ ও সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সকল ঘটনা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে শনিবার সকালে মুসলিমার খণ্ডিত মস্তক পরিধেয় কাপড়, স্যান্ডেল, হত্যায় ব্যবহৃত বটি উদ্ধার হয়। পরবর্তীতে রিয়াজের বাড়ির পুকুর থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন এবং সোহেল সরদারের বাড়ির কবুতরের ঘর থেকে কানের দুল ও চেইন ( ইমিটেশনের) উদ্ধার হয়। এছাড়া মুসলিমাকে তার বাসা থেকে ডেকে নেওয়ার জন্য রিয়াজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নজরুল খাঁর নির্মাণাধীন বাড়ির বালির মধ্য থেকে মুসলিমার কর্তনকৃত মাথা উদ্ধার করে শনিবার মর্গে প্রেরণ করা হয়। ডিএনএ এর জন্য নমুনা সংগ্রহ শেষে মাথা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে উপজেলা সরকারি গোরস্থানে সেটি দাফন হয়।
প্রসঙ্গত গত ২৬ জানুয়ারি সকালে ফুলতলার উত্তরডিহি এলাকায় ধান খেত থেকে মুসলিমা মস্তকবিহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের ময়না তদন্ত শেষে ২৭ জানুয়ারি মস্তকবিহীন দাফন সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে মুসলিমা মেঝ বোন আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫-৬জনকে আসামি করে থানায় মামলা হলে পুলিশ ও র্যাব অভিযান রিয়াজ ও সোহেল গ্রেফতার হয়।
আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- 24freelancernews@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
0 মন্তব্যসমূহ