Header Ads Widget

মাঘের বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনার সড়ক

https://e-careerdesk.blogspot.com/

মাঘের বৃষ্টিতে ডুবলো খুলনার সড়ক


খুলনায় শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মাত্র দুই ঘণ্টায় ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা শীতের সময়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি বলে দাবি করছে আবহাওয়া অফিস। এই বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে নগরীর অধিকাংশ সড়ক।


খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, ‘দুই ঘণ্টায় ৪২ মিমি বৃষ্টি হলো। তাও আবার শীতকালে। স্মরণকালের মধ্যে শীতকালে এ ধরনের ভারী বৃষ্টির নজির নেই।’


জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন ছিল খুলনার আকাশ। কিন্তু শীতের আবহ ছিল না। শীতকাল হলেও গরমভাব ছিল। বেলা ১১টার পর ঠান্ডা বাতাস ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। যা বেলা ১২টার দিকে ভারী বৃষ্টিতে রূপ নেয়। একটানা দুই ঘণ্টা চলে এ বৃষ্টি। এ সময় নদীতে জোয়ারের চাপ থাকায় বৃষ্টির পানি আটকে মহানগরীর অধিকাংশ সড়ক পানিতে নিমজ্জিত হয়। কোথাও কোথাও হাঁটু পানি জমেছে।


শান্তিধাম মোড়, আহসান আহমেদ রোড, স্যার ইকবাল রোড, ডাকবাংলা, শিববাড়ী, ফেরীঘাট, শেখপাড়া, নিউমার্কেট, ময়লাপোঁতা, সাত রাস্তার মোড়, পিটিআই মোড়, টুটপাড়া কবরখানা মোড়, রূপসা, গল্লামারী, নিরালা, জিরোপয়েন্ট, সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, রেলগেট, মানিকতলা, ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি, ফুলতলা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কেই পানি জমে মানুষের চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।


টুটপাড়ার হাসতেম খান বলেন, ‘দুপুরে টানা বর্ষণের কারণে অনেকটাই ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়ে বাজার। সড়কও ফাঁকা হয়ে যায়। সড়কে পানি জমেছে। এতে জনদুর্ভোগ মারাত্মক রূপ নেয়।’


সোনাডাঙার আল আমিন বলেন, ‘শীতকালে এ ধরনের বৃষ্টি আগে দেখিনি। দুই বছর আগে ফেব্রুয়ারিতে বৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেটা গরমের শুরুতে ছিল। কিন্তু এবার মাঘ মাসেই।’


খুলনা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল এবং তৎসলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এরই প্রভাবে বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা ও ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার ভারী বৃষ্টিও হয়।


তিনি আর জানান, শুক্রবার দিনগত মধ্যরাত থেকে দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে মেঘলা ও কুয়াশার জন্য শীতের তীব্রতা একটু বেশি অনুভূত হচ্ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ